• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গাংনীতে সেফটি ট্যাংক থেকে নারীর কঙ্কাল উদ্ধার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯  

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় টয়লেটের সেফটিক ট্যাংক থেকে নারগিস খাতুন নামের এক নারীর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া ৯ টার দিকে উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের ফরাজিপাড়া এলাকা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।

মেহেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান  জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না নারগিস খাতুনকে। এরপর ৬ আগস্ট নারগিস খাতুনের মেয়ে তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এরপর সৎ ভাই ইয়াকুব আলীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে ও আবুল বাশার নামে তার বন্ধুকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন তাসলিমা খাতুন। মামলা নম্বর-২৪। ওই মামলার তদন্ত কর্তকর্তা বিশ্বসজিত কুমার এ বছরের ১৪ জানুয়ারি (সোমবার) দিনগত রাতে ইয়াকুব আলী ও আবুল বাশারকে আটক করে জেলা-হাজতে পাঠায়। পরে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কিন্তু রিমান্ডে তেমন কোনো তথ্য না পেয়ে সন্দেহজনকভাবে একই গ্রামের জামিরুল ইসলামের ছেলে ফরজ আলীকে শুক্রবার বিকেলে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবুল বাশারের টয়লেটের সেফটিক ট্যাংক থেকে নারগিস খাতুনের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, জমি আত্মসাৎ করতে সাহেবনগর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে ইয়াকুব আলী, তার বন্ধু একই গ্রামের জামিরুল ইসলামের ছেলে ফরজ আলী, পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর গ্রামের ফুরকান আলীর ছেলে আবুল বাশারসহ (বর্তমানে সাহেবনগর গ্রামে বসবাস করে) তাদের সঙ্গীরা মিলে ইয়াকুব আলীর সৎ মা নারগিস খাতুনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একটি মাঠের ভেতরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মাঠের পাশেই মরদেহ পুতে রাখে। কিন্তু মরদেহটি কুকুর বা অন্যকিছুতে তুলে ফেললে আবুল বাশার তার বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে সেটি ভরাট করে দেয়। এবং পাশেই আরেকটি টয়লেট নির্মাণ করে সেটি ব্যবহার করতে থাকে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) মৃত নারীর ডিএনএ টেষ্টা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এএসপি সার্কেল শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ