টিকটকার স্বামীর জননাঙ্গ কাটলেন মাদকাসক্ত স্ত্রী, নামও সাকিব খান!

নারায়ণগঞ্জে ‘জুনিয়র সাকিব খান’ হিসেবে পরিচিত এক টিকটকারের জননাঙ্গ কেটে ফেলেছেন তার স্ত্রী শিখা। মঙ্গলবার ভোরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিখাকে আটক করে বন্দর থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। তিনি বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকার জুম্মন খানের মেয়ে। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের মতো কথা বলে বেশ ভাইরাল হন আহত ‘জুনিয়র সাকিব খান’। এরপর টিকটকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

স্থানীয়রা জানান, সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেন। তারা দুজনই মাদকাসক্ত। সাকিব ও শিখার একাধিক বিয়ে। প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হতো। কয়েকবার স্থানীয়রা তাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন। সেই ঝগড়ার জেরেই মঙ্গলবার ভোরে কোনো একসময় ঘরের ভেতর সাকিবের জননাঙ্গ কেটে ফেলেন তার স্ত্রী।  বিষয়টি নিশ্চিত করে মদনগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে টিকটকার সাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার ওপর পাওয়া যায়। জননাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। কেটে ফেলা জননাঙ্গের অংশ শিখার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।’

তিনি বলেন, আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাকিবকে সঙ্গে সঙ্গে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাকিবকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। এখানে তার সার্জারি চলছে।

এসআই জানান, ‘সাকিব খানের আসল নাম সাকিল বেপারী। তিনি মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর এলাকার মিন্টু বেপারীর ছেলে। সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা দুজনই মাদকাসক্ত। আহত সাকিবের তথ্যমতে, শিখা তার স্বামীকে মধ্যরাতের কোনো একসময় বিয়ারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন।’

সাকিব ঘুমিয়ে পড়লে ভোরের কোনো একসময় তার জননাঙ্গ কেটে ফেলেন শিখা। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে তদন্ত শেষে বলা যাবে। অভিযুক্ত শিখাকে আটক করে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’