• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ভারত থেকে চোরাই পথে এসেছে ১৫ লাখের ছাগল!

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪  

ভারত থেকে চোরাই পথে সাদেক এগ্রোতে আনা হয়েছিল আলোচিত বিটল জাতের খাসি। দেশের আর কোনো হাটে এতো বড় খাসি বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছে, বাংলাদেশ গোট অ্যান্ড শিপ ফার্মার্স এসোসিয়েশন। অন্যদিকে সরকারি কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে চারবছর পালিত ব্রাহমার দাম কিভাবে কোটি টাকা ছাড়ালো সেই প্রশ্ন প্রণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের। 

সাদেক এগ্রোর আলোচিত ১৫ লাখ টাকার বিটল জাতীয় ছাগল মূলত পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও ভারতের রাজস্থান পুনে সহ কয়েকটি প্রদেশেই দেখা যায়। কোলকাতা কিংবা বাংলাদেশের আবহাওয়া এ ধরনের ছাগল বেড়ে ওঠার জন্য উপযোগী নয়। ফলে দেশের কোন খামারে তো নয়ই কোন হাটেও এ ধরনের ছাগল বিক্রি হয়নি। বাংলাদেশ গোট এন্ড শীপ ফার্মার্স এসোসিয়েশনের দাবী এটি ভারত থেকে চোরাই পথেই এসেছে।

প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের বাজারে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া এ প্রজাতির ছাগলের দাম ভারতের বাজারে কত? সেই খবর নিতে আমরা অনলাইনে যোগাযোগ করি ভারতের পুনের বিটল জাতীয় ছাগলের বড় উৎপাদক আশরাফ আলির সাথে। তিনি জানান, খামারে বংশ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এধরনের বড় জাতের পাঠার দাম একটু বেশি হতে পারে। তবে মাংসের উদ্দেশ্যে করা সাদেক এগ্রোর এই ধরনের খাসির দাম ভারতে ২ থেকে ৩ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ছাগলের মতো অতিরিক্ত দাম হাকা হয়েছে গরুর ক্ষেত্রেও। ২০২১ সালে বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া ১৭টি পিওর ব্রাহমা চার বছর লালন পালন করা হয় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে। পরবর্তীতে সেটি নিলামে বিক্রি করা হলে সংগ্রহ করে সাদেক এগ্রো। সরকারি খামারে লালন পালন হওয়া সেই ব্রাহমাগুলোই এখন কিভাবে কোটি টাকার উপর বিক্রি করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন খোদ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেয়াজুল হকের।

তিনি বলেন অতিরিক্ত দাম হাকা বা লাভ দেখানোর মধ্যে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার কোন কারসাজি আছে কিনা তা খোজ করা উচিৎ। 

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলছেন, সরকার খামার ব্যবসাকে উৎসাহিত করতে নানা ধরনের কর সুবিধা দিচ্ছে, কেউ কেউ সেটির সুযোগ কেউ নিচ্ছে কিনা তা ক্ষতিয় দেখা উচিৎ। 

এদিকে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে নিয়মিত কথা বললেও সাদেক এগ্রোর মালিক এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। 

সরকারি হিসাবে পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন দেশ বাংলাদেশ, এমন অবস্থায় ভারত কিংবা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোন ধরনের বাছবিচার না করে অবৈধভাবে ভিন্ন জাতের পশু আনা বন্ধ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো খাত।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ