• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দৈনিক গোপালগঞ্জ

চল্লিশ পার হওয়া নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা জানা জরুরি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৪  

নারীর জীবনে ঝামেলার শেষ নেই। পরিবার, অফিস ও বাসায় সমানতালে সময় দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় নারীরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে নারীর বয়স বৃদ্ধিকালে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। এ সময় নানা দুঃশ্চিন্তার পাশাপাশি নারীর শরীরে বিভিন্ন রোগের দেখে মেলে। 

চল্লিশের পরে নারীকে সুস্থ থাকতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। এ সময় নারীর জীবনে নতুন অধ্যায়ের আগমন ঘটে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য, শরীরচর্চার পাশাপাশি মনের যত্ন নেওয়া ভীষণ প্রয়োজন। এই সময় সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন প্রয়োজন। চল্লিশের আগে যেসব নারীরা অসুখবিসুখে ভোগান্তিতে পড়েন নি, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেও চল্লিশের পর শারীরিক নানাবিধ সমস্যা দেখা যায়। পুষ্টিবিদেরা মনে করেন, চল্লিশের পর নারীর জীবনের অনেক পরিবর্তন ঘটে। তাই এ সময  নারীর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।

 

ল্লিশের পর নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে মেনোপজ। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে মেনোপজ। মেনোপজের সময়ে হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে অনেক নারী অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন পড়েন। তাই চল্লিশের পরে নারীর একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শায়লা শারমিন বলেন, ‘বেশির ভাগ নারীর শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয় চল্লিশের পর থেকে। যেমন–হরমোনের পরিবর্তন, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। এ সময় নারীদের মেনোপজের কারণে মুড সুইং, মেজাজ খিটখিটে হয়। আবার এই সময় নারীর আত্মবিশ্বাসেরও ঘাটতি দেখা যায়। সব মিলিয়ে চল্লিশের পর নারীকে সুস্থ থাকতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।’ 

 

নেক নারী চল্লিশের পর মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। কিন্তু এই সময়টাতে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না। এর পাশাপাশি খাবারের বিষয়েও  সচেতন হতে হবে। অনেকে এই বয়সে এসে বাড়তি মেদ কমানোর জন্য খাবার কম খেয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের সুস্থ থাকা জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। এ সময় ভুল করেও খাবারের ক্ষেত্রে অনিয়ম করা যাবে না। এতে শরীরে বাধ্যর্কের ছাপ পড়বে। তাই নিয়ম করে পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন।

 

ই বয়সে সারাদিন কোনো না কোনো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে, খেয়াল রাখতে হবে, সব ধরনের খাবারই যেন খাদ্যতালিকায় উপস্থিত থাকে। পুষ্টিবিদেরা মনে করেন, যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই আঁশযুক্ত খাবার ভালো। বয়স বাড়ার সঙ্গে এ ধরনের খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজের সময়ে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই সময় আঁশযুক্ত খাবারের প্রয়োজন। 

পুষ্টিবিদ শায়লা শারমিন মনে করেন, এই সময়ে নারীর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন খাদ্য থাকা উচিত, যেসব খাবার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এ সময় তেল-চর্বি, ভাজাপোড়া, প্যাকেটজাত খাবার কম খেয়ে উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এ সময় উচ্চতা অনুসারে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন শরীরচর্চার পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ