• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া কি ভালো?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৪  

খাওয়ার সময় অনেকেই কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন খেয়ে থাকেন। কেউবা সালাদে এসবের ব্যবহার করেন। কিন্তু কখনও খোঁজ নিয়ে দেখেছেন এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো? কীভাবে খেলে উপকার? কিংবা কখন ভালো নয়?

যখন ভালো

রোগ প্রতিরোধে: পিঁয়াজে আছে ভিটামিন-সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে। রসুনে উপস্থিত কিছু উপাদান ক্লান্তি বিভিন্ন দুর্বলতা কাটায়।

হার্টের অসুখে: পিঁয়াজের কেয়ারসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হার্ট ভালো রাখে। রসুনে ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিহত করে।

রক্তের সঙ্গে সম্পর্ক: পিঁয়াজ-রসুন উভয়ই রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায়: পিঁয়াজের ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ভিতরের টক্সিন বার করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে: পিঁয়াজের সালফার যৌগ ক্যালসিয়াম শোষণকে বাড়িয়ে হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে, এতে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কেয়ারসেটিন, ফ্লাভোনয়েড, অ্যালিসিন, সালফার যৌগ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

বাচ্চা জন্মের সময়: পিঁয়াজের মধ্যে থাকা জিঙ্ক হবু মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। রসুনের মধ্যে উপস্থিত এনজাইম হার্ট ভালো রাখে, ল্যাক্টেশন পিরিয়ডে গ্যালাকটোজের মাত্রা বাড়িয়ে মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

কখন খারাপ পিঁয়াজ-রসুন?

ডায়বেটিস: পিঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। তাই যাদের মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো।

কিডনির সমস্যা: পিঁয়াজের মধ্যে থাকা অক্সালেট কিডনি স্টোনের পক্ষে খুব খারাপ। তাই এই রোগের ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। রসুনও কিডনির শত্রু। যেহেতু রান্নায় কম পরিমাণে ব্যবহার হয় তাই অতটা ক্ষতি করতে পারে না।

পেটের জন্য: পিঁয়াজ ও রসুনের মধ্যে রয়েছে পেট গরম করার প্রবণতা। তাই খুব ছোট বাচ্চাদের অর্থাৎ ৫ থেকে ৬ বছর বয়স অবধি না খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। মধ্যবয়স্ক কিংবা বেশি বয়স্করা যারা পেটের সমস্যা কিংবা হজমের গন্ডগোলে ভুগছেন তাঁরা ছেড়ে দিন, ভালো থাকবেন।

হার্টে চাপ: অনেক সময়ই অতিরিক্ত পিঁয়াজ রসুন খাওয়া গ্যাস বা অ্যাসিডিটির ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা পরে সৃষ্টি করে জটিল পরিস্থিতির। হার্টে চাপ পড়ে।

কারা কীভাবে খাবেন?

যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সারা সপ্তাহে মাত্র ১৫ থেকে ২০ গ্রাম রসুন এবং ২৫০ গ্রাম পিঁয়াজ খান।

ওজন কমানোর ডায়েটে থাকলে চিকেন স্টুয়ের মধ্যে পিঁয়াজ দিয়ে খান।

গর্ভাবস্থাকালীন পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে না খাওয়াই ভালো।

ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য পিঁয়াজের রস খুব উপকারী। পিঁয়াজের পেস্ট কিংবা রস খান।

সুস্থ ব্যক্তিরা প্রত্যেকদিন পিঁয়াজ ভাজা কিংবা বেরেস্তা না খেয়ে অন্যভাবে খেতে পারেন। আসলে, এর মধ্যে থাকা জলীয় পদার্থ প্রচুর পরিমাণে তেল শোষণ করে, যা একদমই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ