• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দৈনিক গোপালগঞ্জ

পদ্মা সেতুর দুই পাশে চালুর অপেক্ষায় নতুন দুই থানা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯  

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুকে ঘিরে চলছে বিভিন্ন ধরনের কর্মযজ্ঞ। মূল পদ্মা সেতু ছাড়াও রয়েছে সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া, পুনর্বাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দুটি থানা ভবন। ‘পদ্মা সেতু উত্তর’ ও ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণ’ নামে এই দুই থানার ভবন নির্মাণ কাজ শেষে হলেও প্রশাসনিকভাবে এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ চালু হবে তা বলতে পারছেন না এই অঞ্চলের পুলিশের কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা এই ভবন দুটি নির্মাণ করেছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। একজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ ৪০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন প্রতিটি থানায়। সংযোগ সড়কের টোলপ্লাজার পাশে থানা ভবনের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

পদ্মা নদীর উভয় প্রান্তের এই এলাকা এক সময় বলতে গেলে জনশূন্য ছিল। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই পাড়ের জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। নতুন নতুন জনবসতি তৈরি হচ্ছে, নতুন নতুন হাট-বাজার বসছে। মানুষজন এখানে বসবাস করতে শুরু করছেন। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের প্রশাসনিক কার্যক্রম দরকার ছিল। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মেদেনীমন্ডলে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজার অদূরে এই থানা ভবন দেখে খুশি এলাকার মানুষজন।

মেদেনীমন্ডল এলাকার সেলিম মৃধা বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এমন থানা ভবন দেখে আমরা খুশি। কারণ এখন এখানে মানুষজন বেড়েছে। এখানে থানা হলে সবারই অনেক ভালো হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। আমরা চাই দ্রুত থানার কাজ শুরু হোক।’

পদ্মা সেতু এলাকায় কর্মরত সোহেল আহম্মেদ বলেন, ‘এত বড় থানা ভবন দেখে আমরা অনেক খুশি। পদ্মা সেতুর কাজ, বড় বড় রাস্তা ছাড়াও থানা হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এমন উন্নয়নে আমরা অনেক খুশি।’

একইভাবে দক্ষিণপ্রান্তে শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর প্রান্তেও একই ধরনের ভবন তৈরি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত থানার কার্যক্রম শুরু করলে মানুষের জন্য অনেক উপকার হবে। জাজিরা এলাকার নাওডোবা গ্রামের বাসিন্দা শাহরুক হোসেন বলেন, ‘এখানে টোলপ্লাজার সঙ্গেই বিশাল ভবন হয়েছে। শুনলাম এটি থানা হবে। পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক, টোলপ্লাজা, কাঁঠালবাড়ি ঘাটসহ এখানে অনেক বড় বড় স্থাপনার কাজ চলছে। তাই দ্রুত থানা চালু হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও ভালো হয়।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, এই দুই থানা চালুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। জনবল অনুমোদন হলেই থানার কার্যক্রম শুরু হবে। যা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। তাদের অভিমত, পদ্মা সেতু শুরুর আগেই এই থানার কার্যক্রম শুরু করলে জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবেই এই থানা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তাদের কার্যক্রম হাতে নেবেন। এতে এই অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো থাকবে।’

 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ