• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্লাটিনাম জয়ন্তী আজ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য উচ্চতায় আওয়ামী লীগ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪  

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানের গৌরবের অধিকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ আজ রবিবার ৭৬ বছরে পা দিচ্ছে। বিগত ৭৫ বছরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক অর্জনই আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। দেশের প্রাচীন এ দলটির সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ৪৩ বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর হাত ধরেই দেশ গঠনের কাজে আওয়ামী লীগ ছুঁয়েছে নানা মাইলফলক।

তাঁর নেতৃত্বেই অনন্য উচ্চতায় আওয়ামী লীগ।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পুরান ঢাকার কে এম দাশ লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এখনকার আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়। পরে ১৯৫৫ সালে দলের সম্মেলনে নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ রাখা হয়। প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি এবং শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক পদ পান। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই আওয়ামী লীগের মূল কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন শেখ মুজিবুর রহমান।
শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ এ দেশের গণমানুষের নিজেদের দলে পরিণত হয়। পাকিস্তানি পরাধীনতার বিরুদ্ধে মানুষকে সুসংগঠিত করে দেশকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে যান শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি হয়ে ওঠেন জাতির অবিসংবাদিত নেতা, পান বঙ্গবন্ধু উপাধি। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন জাতির জনক।
সদ্য স্বাধীন দেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর বড় ধরনের সংকটে পড়ে আওয়ামী লীগ।

তৎকালীন শাসকদের নিপীড়ন, দলের মধ্যে নেতাদের দ্বন্দ্ব, সব মিলিয়ে সংগঠন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সে সময়ে ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এমন অবস্থায় ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।
১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনার পর স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে আবারও সুসংগঠিত করার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ। তখন থেকেই দেশ গঠনে জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজগুলোকে পূর্ণতা দেওয়ার পালা শুরু করেন শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। সে নির্বাচনে দলের ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন। সরকারে এসে এ অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ। বর্তমানে দলটি টানা চার মেয়াদে সরকারে আছে। এ সময়ে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানা সূচকে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বড় অর্জন।

তবে এত অর্জনের পরও আওয়ামী লীগকে ঘিরে এখন বড় সমালোচনা—সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে থাকা ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করায় ঘাটতি। এ দুটি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি

প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আজ রবিবার সূর্য উদয়ের ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা নিবেদন। দুপুর সোয়া ২টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর/ইউনিয়ন, ওয়ার্ড শাখাসহ সব স্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ